রাজধানীর কলাবাগানে নিজ বাসায় ডা. সাবিরা রহমানকে কুপিয়ে হত্যার পর তার লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
হত্যাকাণ্ডের আলামত সংগ্রহ করছে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট। ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক শেখ রাসেল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সাবিরার শ্বাসনালী কেটে ফেলা হয়েছে। তার দেহে পোড়া ক্ষত আছে। প্রাথমিকভাবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, রোববার (৩০ মে) রাতের কোনো এক সময় এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সাবিরাকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি দুর্বৃত্তরা। তার লাশ পুড়িয়ে ফেলতে তোষকে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। সাবিরার লাশের কিছু অংশ পুড়ে গেছে। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা নিশ্চিত হতে ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করছেন। শিগগিরই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হবে বলে আশা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সোমবার (৩১ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেসরকারি গ্রিন লাইফ হাসপাতালের ডা. সাবিরার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কলাবাগান ফার্স্ট লেনের ৫০/১ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাটে তিনি ভাড়া থাকতেন। ওই ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে সাবলেট থাকেন কানিজ ফাতিমা নামের এক তরুণী। সোমবার সকালে ওই তরুণী হাঁটতে যান। ফিরে এসে সাবিরার লাশ দেখতে পান তিনি। সোমবার রাত ৮টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কানিজ ফাতিমা, তার এক বন্ধু এবং ওই বাসার দারোয়ানকে থানা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। নিহতের স্বজন রেজাউল হাসান গণমাধমকে বলেন, ‘এটি হত্যাকাণ্ড। সাবিরাকে খুনের পর লাশ পুড়িয়ে দিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা হোক।’ গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ডা. সাবিনা রহমান দুটি বিয়ে করেছিলেন। তার প্রথম স্বামী চিকিৎসক ছিলেন। তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। সাবিরার দ্বিতীয় স্বামী একটি বেসরকারি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট। দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে সাবিরার বনিবনা হচ্ছিল না।
সাবিরার প্রথম সংসারে একটি ছেলে ও দ্বিতীয় সংসারে ৯ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। ছেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শিক্ষার্থী। মেয়েকে নিয়ে কলাবাগানের ফ্ল্যাটে থাকতেন ডা. সাবিরা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।